আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন টেলিভিশন কিংবা মোবাইলে কোনো ভিডিও ছেড়ে দিলে বাচ্চা সেটা হাঁ করে দেখে? শিশুর চেঁচামেচি, কান্নাকাটি থামাতে কিংবা খাওয়ানোর সময় কার্টুন ভিডিওর মত সাহায্যকারী বাবা মায়ের জীবনে আর কিছুই নেই! আসলে সাহায্যের বদলে এগুলো শিশুর জীবনে সর্বনাশ ডেকে আনে।
১ বছর বয়সী শিশুর ৯২ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে মোবাইল ডিভাইসের সাথে পরিচিত হয়েই যায়। এই তথ্য আমাদেরকে খুব অবাক করা কথা না। যেহেতু ট্রাফিকে আটকে থাকা কিংবা খাওয়ার সময় শিশুদের স্বভাবসুলভ দুষ্টুমি সামলাতে ফোন, ট্যাব কিংবা টেলিভিশন খুব সহজ আর বহুল ব্যবহৃত উপায় ৷
শিশুদের ইলেক্টনিক স্ক্রিনের সামনে শান্তভাবে বসিয়ে রাখাটা বাবা-মায়ের জন্য খুব উপকারী হলেও এটা শিশুদের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর না। ১৮ মাস বয়সের নিচের শিশুদের কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক স্ক্রিনের সাথে পরিচিত করানোই উচিত না।
তবে পরিবারের সাথে মাঝেমাঝে ভিডিও চ্যাট করার ক্ষেত্রে শিশুর কাছে ডিভাইস দেয়া যেতে পারে।৷ দেড় বছরের বড় শিশুদের ক্ষেত্রেও ইলেক্ট্রনিক স্ক্রিনে ভিডিও দেখা কিংবা গেইম খেলা সীমিত মাত্রায় দিতে হবে এবং অবশ্যই তা বড়দের তত্ত্বাবধানে হতে হবে।
টিভি কেন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর
সহজ ভাষায় বললে, মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট কিংবা টেলিভিশনে গেইম, “এডুকেশনাল বা শিক্ষণীয়” ভিডিও অথবা ই-বুক এর মতো স্ক্রিন বেইজড মিডিয়া শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।
শিশুরা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাগত আর সামাজিক-মানসিক দক্ষতার বড় অংশ জীবনের প্রথম দুইবছরেই অর্জন করে। মাত্র ২ বছরের মধ্যে একটি শিশু যেভাবে হাসা, হাঁটা, কথা বলা শিখে ফেলে, সেটা খেয়াল করলেই ব্যাপারটা বোঝা যায় । এই শেখাটা তখনই সবচেয়ে ভালো হয় যখন তারা মানুষ ও আশপাশের পৃথিবীর সাথে সরাসরি পরিচিত হয়, যোগাযোগ স্থাপন করে।
কোনো গেইম, এপলিকেশন কিংবা অনুষ্ঠানে শিক্ষণীয় কিছু থাকলেও এসবের মাধ্যমে আসলে শিশুরা কিছুই শেখে না বা বুদ্ধির তেমন একটা উন্নতি হয়না।
১৮ মাসের চেয়ে ছোট শিশুরা স্ক্রিনে দেখানো ডিজিটাল সিম্বলগুলোর সাথে বাস্তব জীবনের মিল খুঁজে নিতে পারেনা, তাই তারা স্ক্রিনে দেখা কন্টেন্টগুলো থেকে অর্থপূর্ণ শিক্ষা কিংবা তথ্য নিতে পারেনা।
স্ক্রিন টাইম যে শিশুদের কোনো উপকার করে না– শুধু তাই না।
এটা শিশুর ভাষা শিক্ষা, পড়তে পারার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শর্ট-টাইম মেমরি বা দ্রুত ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। ইলেক্ট্রনিক স্ক্রিন শিশুর ঘুম এবং মনোযোগ নষ্ট করে।
বাচ্চাকে সামলাতে সামলাতে যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, একটু বিশ্রাম দরকার পড়ে তাহলে হাতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস না দিয়ে তাকে আপনার চোখের সামনে কোথাও সিট কিংবা কাঁথা বিছিয়ে দিয়ে কিছু খেলনা দিন।
শিশুর খেলনা কিনতে পারেন: faceook.com/paromita.baby
শিশুর আনন্দের জন্য দামী খেলনা লাগে না, ঘরের ঘটি-বাটি দিয়েই শিশু খেলতে যে আনন্দ পায় তা কোনোভাবে পাপা পিগ কিংবা কোকোমেলন কার্টুনের এর চেয়ে কম না। আর আপনার সাথে টুকটাক ইঙ্গিত, কথায় যে যোগাযোগ হয়, তা টেলিভিশনের বা ইউটিউবের কোনো অনুষ্ঠান ওকে শেখাতে পারবেনা৷
তবে একটা জায়গায় ছাড় দেয়া যেতে পারে। অনেকসময় পরিবারের লোকজন কিংবা আত্মীয়স্বজনরা শিশুর কাছে না থাকার কারণে ভিডিও কলে যোগাযোগ করা ছাড়া উপায় থাকেনা৷ এক্ষেত্রে শিশুদের ভিডিও কল করা যেতে পারে।
যদিও ভিডিও কল স্ক্রিনের মাধ্যমেই হয়, তবুও শিশুর প্রয়োজনীয় মানুষের সাথে যোগাযোগটা হয় এভাবে। শিশুর বিকাশের ক্ষেত্রে এটা ভূমিকা পালন করে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যেন ভিডিও চ্যাটিং এতো বেশি না হয়ে যায় যে শিশুরা খেলাধুলা, সরাসরি ইন্টারেকশনে বাধা পড়ে।
বাচ্চারা কখন টেলিভিশন দেখতে পারবে
শিশুদের টেলিভিশন কিংবা স্ক্রিনবেইজড মিডিয়া ব্যবহার করাই উচিত না। ভালো মানের কন্টেন্ট পরিমিত মাত্রায় বড়দের তত্ত্বাবধানে ১৮ মাস পেরোলে দেখানো যেতে পারে, তবে ২ বছর পার হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের এসব থেকে দূরে রাখতে পারলে আরো ভালো৷
২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে শিশুদের দিনে ১ ঘন্টার বেশি স্ক্রিন মিডিয়া ব্যবহার করতে দেয়া উচিত না।
২ বছর বয়সী শিশুরা ভালো মানের প্রোগ্রাম থেকে গণিত, অক্ষরজ্ঞান, সহজ সমস্যার সমাধান এবং সামাজিক আচরণ সম্পর্কে শেখার দক্ষতা অর্জন করে। তবুও এসব ক্ষেত্রে তাদের বড়দের সাহায্য প্রয়োজন পড়ে।
এসব মিডিয়া যদি ব্যবহার করতেই হয়, তবে আপনি আপনার সন্তানের সাথে বসে কন্টেন্টগুলো দেখলে এবং পরবর্তীতে সেসব নিয়ে তার সাথে কথা বললে যে লাভ হবে, শিশু একা সেসব কন্টেন্ট দেখে ততটা লাভবান হতে পারবেনা।
শিশুর স্ক্রিনটাইম যেভাবে ম্যানেজ করব
শিশু যত বড় হবে, তার চারপাশের স্ক্রিন নির্ভর দুনিয়া থেকে তাকে আলাদা করা তত কঠিন হবে। কোনো না কোনো ভাবে মোবাইল বা টিভিতে ভিডিও দেখার সাথে শিশু পরিচিত হয়েই যায়। আপনাকে সতর্ক হতে হবে যাতে ওর ভিডিও দেখার অভ্যাস অস্বাস্থ্যকর এবং অপরিমিত না হয়ে যায়।
মিডিয়ার ব্যবহারে সতর্ক হন
শিশুদের জন্য বানানো অনুষ্ঠান সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে। শিশুদের বয়স অনুযায়ী সঠিক ভিডিও খুঁজে বের করুন। আপনার সন্তানকে কোনো গেইম খেলতে দেয়ার আগে অবশ্যই নিজে আগে যাচাই করে নিন। ই-বুকের তুলনায় কাগজের বই কম ডিস্ট্র্যাক্ট করে, তবে যদি ই-বুক সিলেক্ট করেই থাকেন তবে এমন বই বেছে নিন যেগুলোতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু না থাকে। আর চেষ্টা করুন শিশুর সাথে কাগজের বই পড়ার মতো করেই একসাথে বসে পড়ার৷
সুযোগ পেলে বাচ্চার সাথে প্রোগ্রাম দেখুন
একসাথে বসে দেখলে শিশুর সাথে কথা বলা যায়। এভাবে তাদের স্ক্রিনটাইমও কমানো সম্ভব। প্রোগ্রাম দেখতে দেখতে বিভিন্ন চরিত্র, দৃশ্য নিয়ে প্রশ্ন করুন কিংবা ওই প্রোগ্রামের কোনো বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে তার সাথে কথা বলুন৷ শিশুদের শোবার ঘরে কোনো ধরনের স্ক্রিন রাখবেন না এবং ঘুমানোর অন্তত দুই ঘন্টা আগ থেকে শিশুদের কোনো ইলেক্টেনিক প্রোগ্রাম দেখাবেন না। এভাবে তাদের ঘুম ভালো হবে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে টিভি অন রাখবেন না
বাচ্চারা টেলিভিশন সরাসরি না দেখলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে টিভির আওয়াজ শুনতে থাকলে তাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে।ব্যাকগ্রাউন্ডে টিভি না চললে বাবা-মা তাদের সন্তানের সাথে ঘন্টায় যতগুলো শব্দ বলেন, তার তুলনায় ব্যাকগ্রাউন্ডে টিভি চলতে থাকলে বাবা-মা আনুমানিক ১৭০ টি শব্দ কম বলেন। তাই স্ক্রিনটাইমে শিশুদের অভ্যাস করে ফেলবেন না৷ সময় পেলেই তাদের বাইরে খেলতে নিয়ে যায় বা ইম্যাজিনেটিভ গেইম খেলুন তাদের সাথে। অথবা তাদেরকে ড্রয়িং এর জিনিসপত্র দিন। এবং শিশুদের সামনে কখনোই বড়দের প্রোগ্রাম দেখবেন না।
শিশুকে শান্ত করতে মিডিয়া ব্যাবহার করবেন না
রেস্টুরেন্টে বসে থাকা বা ডাক্তার দেখাতে গিয়ে অপেক্ষা করার সময় শিশুকে মোবাইল দিয়ে শান্ত রাখছেন? এসব সময়ে শিশুরা যখন অধৈর্য হয়ে পড়ে বা ছোটাছুটি করে তখন তাদেরকে শান্ত করার জন্য স্ক্রিন দেখতে দিলে তাদের মানসিক বুদ্ধিমত্তা অর্জন কঠিন হয়ে পড়ে। চারপাশ থেকে যা শেখার কথা তা তো শিখতে পারেই না, উল্টো কোনো পাবলিক প্লেসে কিভাবে ধৈর্য্য ধরতে হয়, আচরণ করতে হয় এগুলো সে শিখতে পারে না।
শিশুদেরকে বিজ্ঞাপন দেখাবেন না
৮ বছরের কম বয়সী শিশু, বিশেষত ৬ বছরের ছোট শিশুরা কোনটা প্রোগ্রাম আর কোনটা বিজ্ঞাপন (এডভারটাইজমেন্ট) সেটা আলাদা করে বুঝতে পারেনা। বিশেষত যদি বিজ্ঞাপনে তার প্রিয় কোনো ক্যারেক্টার থাকে। তাই, এমন প্রোগ্রাম তাকে দেখান যেখানে কোনো কমার্শিয়াল নেই, অথবা যদি থাকেও তবে স্কিপ করুন।
শিশুদের জন্য বানানো হলেই সব প্রোগ্রাম বা গেইম দেখাবেন না
অনেক প্রোগ্রামে বা গেইমেই দেখবেন লেখা আছে শিক্ষামূলক বা ‘এডুকেশনাল’, এবং এদের বেশিরভাগেরই এ দাবির কোনো ভিত্তি নাই। Youtube Kids এর মতো শিশুদের জন্য তৈরী প্ল্যাটফর্মেও প্রচুর বিজ্ঞাপন থাকে যার ফলে বাচ্চাদেরকে অপ্রীতিকর কন্টেটের সাথে পরিচিত করে দেয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
১৮ মাস বয়সের পর্যন্ত বাচ্চাদেরকে স্ক্রিন থেকে দূরে রাখাটা সত্যিই কষ্টসাধ্য। তবে একটু কষ্ট করলে আপনার কোমলমতি শিশু তুলনামূলক অনেক বেশি সরাসরি ইন্টারেকশন আর শিক্ষার অভিজ্ঞতা পায়। সন্তানের এই বিকাশের জন্য এই কষ্টটা তো নেয়াই যায়!
আমার অভিজ্ঞতা
আমার অভিজ্ঞতার সাথে আপনারা অনেকেই হয়ত নিজেদের জীবনের মিল খুঁজে পাবেন। বাংলাদেশের অনেক বাবা-মা নিজেরা না চাইলেও পরিবারের অন্যদের কারণে শিশুকে মোবাইল বা কার্টুন দেখানোর অভ্যাস করাতে বাধ্য হয়।
প্রথমত আমি নিজে শিশুদেরকে টিভির সামনে বসিয়ে বুঁদ করে রাখার ঘোর বিপক্ষে।
দ্বিতীয়ত পরিবারের অন্যরা যখন টিভিতে/মোবাইলে জোরে শব্দ করে কিছু দেখে বা শোনে শিশু সে সমস্ত শব্দ, ভাষা ও ভঙ্গিমা অবচেতন মনেই শুনে ফেলে ও শিখে ফেলে।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করেছিলাম। আমার গবেষণা একা নয়, এরকম আরো বহু গবেষণা আছে যেখানে দেখা গেছে, যেসব বাসায় বড়রা শিশুর সামনে বড়দের অনুষ্ঠান দেখে, ঐসব শিশুরা টেলিভিশনের চরিত্রের মত আচরণ করতে শুরু করে। অনেকে এসব আচরণ বা কথাকে ‘পাকা কথা’ বা ‘পাকা আচরণ’ বলে। আসলে এসব আচরণ বয়সোচিত না হলেও ওরা শিখেছে কারণ এগুলো পরিবারই ওদেরকে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে দেখিয়েছে।
এ গবেষণার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে আমি শিশুকে মোবাইলে ভিডিও দেখানো বা গেইম খেলতে দেয়ার ঘোর বিরোধী।
আমার সন্তানকে শান্ত করার জন্য আমি নিজে গান গাই বা মোবাইলে শুনাই (দেখাই না)। কিন্তু আমার পরিবারের অনেকেই বিশেষ করে প্রবীণেরা শিশুকে শান্ত করতে প্রথমেই যে কাজটা করেন সেটা হল কার্টুন দেখানো। এমনকি অসুখ হলে খাওয়ানোর সময়ও ওকে কার্টুন বা ভিডিও দেখিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন।
আমি যেভাবে এ সমস্যার সমাধান করেছি তা হল সরাসরি কথা বলে। আমি সরাসরি পরিবারের প্রবীণদের বুঝিয়ে বলেছি শিশুর চোখ ও মস্তিস্ক উভয়ই এতে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিশুর মুখে ‘পাকা কথা’ আমি একেবারেই পছন্দ করি না। এবং আমি চাই না আমার শিশু এ ধরনের কথা বলুক ও আচরণ করুক। যত কষ্টই হোক আমার শিশু যেন খেলা বলতে খেলাই বোঝে, কোনোদিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকা না।
যখনই কোনো বাসায় গেছি বাচ্চাকে নিয়ে এবং দেখেছি ওই বাসায় টিভি চলছে আমি হাসিমুখে তাদেরকে বলেছি, প্লিজ টিভি অফ করে দিন। বাচ্চার ক্ষতি হয়।
‘ক্ষতি হয়’ বললে অনেক সময়ই দারুণ কাজ হয়। আবার অনেক সময় অনেকে বলে, কিন্তু ও তো হাঁ করে দেখছে!
আমি মুচকি হেসে আবার আমার অনুরোধ জানাই। আপনারা যারা এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তারা পরিবারের সবার সাথে এ বিষয়ে খোলাখুলি আলাপ করুন। বিশেষ করে বাচ্চার বাবাকে এ বিষয়ে সতর্ক করুন। দরকার হলে এ আর্টিকেল পড়তে দিন
আরেকটি বিষয়, প্রবীণেরা অনেকেই হেডফোন ব্যবহার করেন না। তারা যেসব ভিডিও/অনুষ্ঠান দেখেন তা বেশ উচ্চস্বরেই পুরো বাসায় শোনা যায়। এসব ক্ষেত্রে শিশুর কানে যেন এসব আওয়াজ না যায় সে ব্যবস্থা করবেন। যদি করতে না পারেন, তাহলে শিশুর রুমে শিশুসুলভ গান বা ছড়া ছেড়ে (শুধু অডিও, ভিডিও না) ওর মনোযোগ অন্যদিকে নিয়ে যান
আপনাদের কোনো টিপস থাকলে সেটাও আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
এ লেখাটি আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পিডিয়াট্রিকস (AAP) এর গাইডলাইনের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট লিংক: https://www.aap.org