সেপারেশন এংজাইটি: কেন শিশু মাকে ছাড়া থাকতে চায় না?

এ আর্টিকেলে যা থাকছে

পরিবারে বেশ কয়েকজন মানুষ থাকা সত্ত্বেও আপনার শিশু কি শুধু আপনার কাছেই বসে থাকে? কারো কোলে যায় না বা গেলেও ২ মিনিটের মধ‍্যেই আপনার জন‍্য কান্না শুরু করে? এখন আপনার চাকরিতে ফেরার সময় হয়ে গেছে, বাচ্চাকে ফেলে আপনি কিভাবে যাবেন, বাচ্চাই বা আপনাকে ছেড়ে কিভাবে থাকবে–এ নিয়ে উদ্বিগ্ন? তাহলে এ আর্টিকেল আপনার জন‍্য।

পরিবার বা কাছের মানুষের কাছ থেকে, বিশেষ করে মায়ের সাথে শারীরিক দূরত্ব তৈরি হওয়ার কারণে যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয় সেটি ‘সেপারেশন এংজাইটি’ হিসেবে পরিচিত। নবজাতকের সঙ্গে দীর্ঘদিন অবিচ্ছেদ্য সময় কাটানোর পর মা যখন তার নিয়মিত কাজে ফেরেন, সেই সময়টি শিশু ও মায়ের জন্য ভীষণ আবেগপূর্ণ। 

শিশুরা সারাক্ষণ মায়ের সান্নিধ্য চাইবে, কোলে থাকার জন্য কান্নাকাটি করবে এটাই স্বাভাবিক। শিশুর এই আকুতিকে পাশ কাটিয়ে অন্য কাজে মন দেওয়া বেশ কষ্টের কাজ হতে পারে। অনেক মা এ নিয়ে নিজেকে অপরাধী বা দায়ী মনে করেন। এমন না ভেবে মায়েদের উচিত বাস্তবতা মেনে নিয়ে এই সময়টি স্মার্টভাবে সামাল দেওয়া। আবার পরিবারের বাকি সদস‍্যদেরও এ ব‍্যাপারে মাকে সাহায‍্য করা দরকার। 

একটানা শিশুর দেখভাল করার ফাঁকে মায়ের অবশ্যই বিরতির প্রয়োজন। নবজাতককে রেখে কোথাও যাওয়া, এমনকি অফিসের কাজে ফেরা, শুধু শিশুর জন‍্য নয়, কখনো কখনো মায়ের জন‍্যও বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। অনেক সময় এটি নতুন মায়ের জন্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার হলেও শিশুর খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু শিশুর যদি সেপারেশন এংজাইটি হয় তাহলে সেটি পরিবারে সবাই মিলে সামাল দেওয়া জরুরি।

সেপারেশন এংজাইটি কী

পরিবার বা কাছের মানুষের কাছ থেকে, বিশেষ করে মায়ের সাথে শারীরিক দূরত্ব তৈরি হওয়ার কারণে যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয় সেটি ‘সেপারেশন এংজাইটি’ হিসেবে পরিচিত।মা কিংবা বিশ্বস্ত কোনো কেয়ারগিভার (শিশুর যত্ন নেয় এমন ব্যক্তি) যদি শিশুকে রেখে কোথাও যায় তবে শিশুর মধ্যে এক ধরনের ভয় ও উৎকণ্ঠা তৈরি হতে পারে।  

সেপারেশন এংজাইটি শুরু হলে শিশু কান্নাকাটি কিংবা চিৎকার করে, মাকে আঁকড়ে ধরে রাখে, কিংবা অপরিচিত বা কম পরিচিত কাউকে দেখলে মুখ লুকিয়ে ফেলে। কখনো কখনো পরিবারের অন্যান্য সদস্য এমনকি সে একসময় পছন্দ করত এমন কারো সঙ্গেও সে আর থাকতে চায় না, কোলে যেতে চায় না, তাদের দেখলে কান্নাকাটি করে কিংবা তাদেরকে ভয় পায়।

নবজাতকের সঙ্গে দীর্ঘদিন অবিচ্ছেদ্য সময় কাটানোর পর মা যখন তার নিয়মিত কাজে ফেরেন, সেই সময়টি শিশু ও মায়ের জন্য ভীষণ আবেগপূর্ণ।

শিশুরা সারাক্ষণ মায়ের সান্নিধ্য চাইবে, কোলে থাকার জন্য কান্নাকাটি করবে এটাই স্বাভাবিক। শিশুর এই আকুতিকে পাশ কাটিয়ে অন্য কাজে মন দেওয়া বেশ কষ্টের কাজ হতে পারে। অনেক মা এ নিয়ে নিজেকে অপরাধী বা দায়ী মনে করেন। এমন না ভেবে মায়েদের উচিত বাস্তবতা মেনে নিয়ে এই সময়টি স্মার্টভাবে সামাল দেওয়া। আবার পরিবারের বাকি সদস‍্যদেরও এ ব‍্যাপারে মাকে সাহায‍্য করা দরকার। 

একটানা শিশুর দেখভাল করার ফাঁকে মায়ের অবশ্যই বিরতির প্রয়োজন। নবজাতককে রেখে কোথাও যাওয়া, এমনকি অফিসের কাজে ফেরা, শুধু শিশুর জন‍্য নয়, কখনো কখনো মায়ের জন‍্যও বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। অনেক সময় এটি নতুন মায়ের জন্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার হলেও শিশুর খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু শিশুর যদি সেপারেশন এংজাইটি হয় তাহলে সেটি পরিবারে সবাই মিলে সামাল দেওয়া জরুরি।

শিশুর মাঝে সেপারেশন এংজাইটির লক্ষণগুলো কী কী

শিশুর সেপারেশন এংজাইটি হলে সেটি মা খুব সহজেই টের পান। তবে কয়েকটি লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন শিশুর সেপারেশন এংজাইটি আছে কি না।

  • নতুন কারো কোলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিশু চিৎকার করে কাঁদে
  • অপরিচিত কারো কোলে দিলে সে তার কাছ থেকে সরে আসতে চায় এবং আপনার কোলে আসার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়
  • আপনি কাছাকাছি না থাকলে সে ঘুমাতে চায় না কিংবা তার ঘুম ঠিকঠাক হয় না
  • রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং কান্নাকাটি করে
কখন সেপারেশন এংজাইটি হয়

ছোট্ট শিশুর সঙ্গে আমরা প্রায় সবাই মুখ লুকিয়ে লুকোচুরি খেলতে পছন্দ করি। হাত কিংবা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে আমরা বলি ‘বাবু কোথায়?’ তার হাত সরিয়ে বলি ‘এইতো এখানে।’ শিশুরা এই খেলাটি ভীষণ পছন্দ করে।  

তবে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকও আছে। শিশু জন্মের পর যা কিছু দেখতে পায় শুধু সেটুকুর অস্তিত্ব সম্পর্কেই সে বুঝতে পারে। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু বুঝতে পারে যে তার খেলনা কিংবা প্রিয় মানুষ তার চোখের সামনে না থাকলেও কিছু সময় পর সে আবার তাদেরকে দেখতে পাবে। ইংরেজিতে একে বলে ‘অবজেক্ট পার্মানেন্স’। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের সঙ্গে এটি তৈরি হয়।  

সাধারণত ৭ মাস বয়স থেকে শিশুর মধ্যে সেপারেশন এংজাইটি তৈরি হতে থাকে। তবে ৯ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে এই ভয়ের অনুভূতিকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয় এবং ১০ থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে সেপারেশন এংজাইটি সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এই বয়সী শিশুকে যদি ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত, বদমেজাজ কিংবা অসুস্থ অবস্থায় রেখে মা কোথাও চলে যান তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

কিন্তু দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের মধ্যে এই সেপারেশন এংজাইটি কেটে যায়। তবে এজন্য প্রায় ২ বছর বয়স পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে ৩ বছর বয়স বা আরও বেশি সময় লাগে।

শিশুর সেপারেশন এংজাইটি হওয়ার কারণ কী

শিশুর কান ফাটানো চিৎকার বেশ বিরক্তিকর ও অসহনীয় বলে মনে হলেও শিশুর সেপারেশন এংজাইটি আসলে কিন্তু একটি ভালো দিক। আপনি বাসার বাইরে গেলে শিশু যে হৈচৈ ও কান্নাকাটি করে এর অর্থ হলো আপনার সঙ্গে তার একটি শক্তিশালী বন্ধন এবং ভালোবাসার সম্পর্ক আছে। 

যেহেতু শিশুর অভিজ্ঞতা নেই তাই নতুন মানুষ দেখলে বা নতুন কোনো জায়গায় গেলে সে অনিরাপদ বোধ করতে পারে, বিরক্ত হতে পারে। আপনার সন্তান বোঝে যে আপনিই তার প্রধান পরিচর্যাকারী আর এ কারণেই আপনি দূরে গেলে সে বিরক্ত হয়।

তাছাড়া শিশুরা সময় বোঝে না, তাই আপনি যদি ৫ মিনিটের জন্যও কোথাও যান তাতেও সে আপনাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।

শিশুর সেপারেশন এংজাইটি হলে কী করবেন

শিশুর বিকাশের আর সব ধাপের মতোই এই ধাপও সামাল দেওয়ার মূল চাবিকাঠি হলো ধৈর্য‍্য। শিশুর সেপারেশন এংজাইটিতে কখনোই তাকে উপেক্ষা বা অবহেলা করা উচিত নয়। এর পরিবর্তে, কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে পারেন।

  • তাকে অন্য কারো কাছে রেখে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। শিশুর কাছ থেকে আলাদা থাকলে মায়ের নিজের ভেতরেও উদ্বেগ তৈরি হয়। তাই শুরুতে ১ বা ২ ঘণ্টার বিরতি নিন। এইভাবে, আপনি এবং আপনার শিশুও বিয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। আপনার শিশুও বুঝতে পারবে যে আপনি চলে গেলেও কিছু সময়ের পর আবার ফিরে আসেন এবং এটাই তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে যখন আপনিও দেখতে পাবেন যে আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার ছোট্ট শিশু আপনার থেকে আলাদা হয়ে যায়নি, তখন তাকে পরেরবার ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আপনি কম ভয় পাবেন।
  • বাইরে যাওয়ার আগে প্রস্তুতির জন্য সময় নিন। শিশুকে যার কাছে রেখে যাচ্ছেন তাকে বলুন অন্তত ৩০ মিনিট আগে আসতে। তিনি তাড়াতাড়ি আসলে আপনার শিশু আপনি থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। এছাড়া তাদের দুজনকে একসঙ্গে রেখে যাওয়া, তার আপনার সন্তানের দেখভাল ঠিকভাবে হচ্ছে কি না সেটি নিজ চোখে দেখে গেলে আপনি নিজেও আশ্বস্ত হবেন, বাইরে যেতে মনে সাহস পাবেন।
  • শিশুকে রেখে যাওয়ার আগে খাইয়ে দিন। ক্ষুধা সেপারেশন এংজাইটিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই শিশুকে রেখে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভরপেট খাইয়ে যেতে চেষ্টা করুন।
  • লুকোচুরি করে বের হবেন না। শিশুর কাছ থেকে অবশ্যই বিদায় নেবেন। কিন্তু অনেক বেশি সময় ধরে বিদায় জানাবেন না। সমস্ত প্রস্তুতি শেষে ঠিক বের হওয়ার আগে শিশুকে দ্রুত ‘গুডবাই’ বলুন। তার সামনে মন খারাপ করবেন না বা চোখের পানি ফেলবেন না। ফিরে এসে তাকে অতিরিক্ত সময় দিন, অনেক সময় নিয়ে যত্ন করুন, আদর করুন।
  • খেলনা দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। শিশুকে যার কাছে রেখে যাচ্ছেন তাকে বলতে পারেন বাচ্চার সঙ্গে যেন প্রিয় কোনো বই নিয়ে বসে বা গল্প শোনায়। শিশু যদি মজার কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তাহলে আপনাকে বিদায় দিতে তার কম মন খারাপ হতে পারে।
  • একটি রুটিন তৈরি করুন। শিশুর স্নান, শোবার সময় এবং সমস্ত কাজের জন্য একটি রুটিন মানা হলে শিশুর বিকাশ ভালো হয়। তাই আপনি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে এবং ফিরে এসে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতে চেষ্টা করুন। যেমন: আপনি তাকে বিশেষভাবে আদর করতে পারেন। বাসার বাইরে যাওয়ার সময় একটি ছোট গান গাইতে পারেন এবং ফিরে এসে নতুন গান শোনাতে পারেন, দীর্ঘ সময় ধরে আলিঙ্গন করতে পারেন।
  •  বাইরে থাকা অবস্থায় শিশুর খোঁজখবর নিন। সে কান্না করছে কি না, ঠিক আছে কি না জানতে ফোন করুন। কিন্তু আপনার সন্তানের সঙ্গে কখনোই ফোনে বা ভিডিওকলে কথা বলার চেষ্টা করবেন না। আপনাকে সশরীরে দেখতে না পেলে সে বিভ্রান্ত হতে পারে এবং আপনার কাছে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটিও করতে পারে।
রাতে শিশু ঘুমানোর সময় সেপারেশন এংজাইটি কিভাবে সামাল দেবেন

৮ থেকে ১২ মাস বয়সের শিশুরা রাতে জেগে থেকে কিংবা মায়ের জন্য চিৎকার করে সেপারেশন এংজাইটির লক্ষণ দেখাতে পারে। রাতের শিশু কান্না করলে শিশুর কাছে যান, তাকে শান্ত করার জন্য পিঠে হালকা চাপড় দিন, তাকে আশ্বস্ত করুন। কিন্তু তাকে কোলে তুলে নেবেন না। কারণ কোলে তুলে নিলে সে সবসময়ই চাইবে আপনার কোলে যেতে এবং পরবর্তীতে কোলে না নেওয়া পর্যন্ত সে কান্না চালিয়ে যেতে পারে।  

সেপারেশন এংজাইটি এই বয়সী শিশুদের ঘুম কম হওয়ারও একটি কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাতের রুটিন (যেমন- গোসল করানো, খাওয়ানো, অন্যান্য যত্ন, গান গেয়ে শোনানো কিংবা গল্প বলা, কপালে চুমু খাওয়া ইত্যাদি) প্রতিদিন মেনে চলতে থাকুন। এতে করে দিনের শেষে শিশুর নিজেরও একটি রুটিন তৈরি হয়ে যায়।

সেপারেশন এংজাইটি হলে সেটিকে ইতিবাচকভাবে দেখুন। কারণ এর অর্থ হলো শিশুর সঙ্গে আপনার যে বন্ধন রয়েছে তা শক্তিশালী। যখনই আপনি বুঝতে পারবেন তার স্বাভাবিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সেপারেশন এংজাইটি হচ্ছে তখন তাকে অভ্যস্ত করতে ওপরের কৌশলগুলো মেনে চলুন এবং নিজের ওপরেও আস্থা রাখুন।

আমার অভিজ্ঞতা

শিশুর সেপারেশন অ‍্যাংজাইটি হলে সবচেয়ে বেশি ভোগেন মায়েরা। পরিবারের অন‍্য সদস‍্যরা এ সময় মায়ের সাহায‍্যে এগিয়ে না আসলে মায়ের মানসিক স্বাস্থ‍্যে বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে বাচ্চা হবার সময় বেশিরভাগ মেয়েই ভালো সেবাযত্নের জন‍্য বাবা মায়ের বাড়িতে , মানে শিশুর মামা বাড়িতে চলে যায়। ফলে শিশু মা ও মামা বাড়ির লোকদের সাথেই সে অভ‍্যস্ত হয় বেশি। তাদের গায়ের গন্ধ, তাদের গলার স্বর তার পরিচিত হয়ে যায়। এ শিশু যখন নিজের বাবার বাড়িতে ফিরে যায় তখন সে নিজেকে অচেনা জায়গায় অনিরাপদ বোধ করে। এসময় মা-ই হয়ে ওঠে তার একমাত্র নিরাপদস্থল। 

অনেকেই আমাকে দু:খ করে বলেন যে তার শিশু বাবার কোলে যায় না কিংবা দাদা-দাদীর কাছে এক মিনিটও থাকে না। আসলে মূল বিষয়টি হলো তার নিরাপত্তাবোধ। শিশুকে আপন করে নেয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তার সাথে খেলা।
প্রথমে মা সামনে থেকেই শিশুকে অন‍্যের সাথে খেলতে দিন। পরে মা সরে যান।
আরেকটি বিষয় আমাদের ক্ষেত্রে খুবই ইতিবাচক ফলাফল দিয়েছে সেটি হলো কোথাও যাওয়ার সময় শিশুকে বাই বা বিদায় বলে যাওয়া এবং আমরা যে বাইরে যাচ্ছি সেটা ওকে দেখিয়ে বের হওয়া। লুকিয়ে বের হওয়াটা ওকে একটা ভ্রমের মধ‍্যে রাখে। তার চেয়ে বরং বাস্তবতার সাথে পরিচয় ঘটানোই ভালো।

Comments (04)

  1. Lopa rani dey
    June 26, 2023

    Very helpful for me and always read.

    Reply
  2. Urmi
    September 25, 2023

    I’m also suffering from this,and day by day It’s getting intolerable as there is no one to take care of her when I’m not in home😔

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *