শিশুকে বুকের দুধ বা ফরমুলা দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার দেয়াকেই ‘সলিড’ খাওয়ানো বলে। শিশুর সলিড খাবার নিয়ে বাবা মায়ের নানারকম উদ্বেগ কাজ করে। সলিড কখন শুরু করবেন এবং কিভাবে শুরু করবেন, কতটুকু দিবেন এসব নিয়ে আমেরিকার শিশু বিশেষজ্ঞদের বর্তমান পরামর্শ এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
শিশুর সলিড খাবার শুরু করার সময় নিজের হাতে খাওয়ার জন্য উৎসাহ দিন। যদিও সে বেশিরভাগ খাবার মাটিতে ফেলে দিবে, তবুও তাকে নিজের হাতে খেতে দিন। এতে করে সে খাবারের স্বাদ ঠিকভাবে চিনতে পারবে এবং খাওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো শিশুর সঙ্গে একসাথে খান। এতে সে উৎসাহী হয়।
শিশু কখন সলিড খাওয়া শুরু করে?
বেশিরভাগ শিশু ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। অনেক ডাক্তার ৬ মাসের আগে সলিড শুরু না করার পরামর্শ দেন।আসলে কখন শিশু সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হবে তা অনেকাংশেই শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপর নির্ভর করে।
আপনার হয়তো শুরুতেই শিশুকে অনেক কিছু খাওয়াতে মনে চাইবে, কিন্তু একসাথে অনেক কিছু খাওয়ানোটা একদমই উচিত হবে না।
কারণ, প্রথমত এত ছোট শিশুর পরিপাকতন্ত্র সলিড খাবার হজম করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি। এছাড়াও একসাথে অনেক ধরনের খাবারের স্বাদ বাচ্চারা প্রথমেই গ্রহণ করতে চায় না।
প্রথমদিকে সলিড খাবার খুব একটা জরুরী নয়। শিশুরা জীবনের প্রথম ৬ মাস বুকের দুধ বা ফর্মুলা কিংবা দুটো মিলিয়ে ( একবেলা ফরমুলা, একবেলা বুকের দুধ) খেয়েও তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারে।
আগেভাগে সলিড খাবার শুরু করলে অনেক সময় শিশুর ভবিষ্যত খাদ্যাভ্যাসের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। আপনার শিশু হয়তো এখনই সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়, তবুও আপনি যদি জোর করে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন তাহলে খাবারের প্রতি তার একটা অনীহা তৈরি হবে। শিশু সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই মায়েদের এই খাবার নিয়ে জোরাজুরি করার কারণে ওদের কাছে খাবার খাওয়া একটা আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে ভবিষ্যতে তার খাওয়ার আগ্রহ চলে যায়।
অনেক সময় যদি শিশুকে আগেভাগে সলিড খাবার খাওয়ানো হয় (বিশেষ করে যারা ফর্মুলা দুধ খায়) তাদের ওজন অস্বাভাবিক রকম বেড়ে যেতে পারে, যেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
অন্যদিকে, সলিড খাবার দেরিতে শুরু করাটাও ক্ষতিকর। বিশেষ করে ৯ মাস বা তার পরে যদি শুরু করা হয় সেটা শিশুর জন্য ভালো ফল বয়ে আনে না। কারণ যখন বাচ্চা একটু বড় হয়ে যায় তখন তার কাছে সলিড খাবার চিবানো, খাবার গিলে খাওয়া চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। তাই তখন সে সলিড খাবার খেতে চায় না। মায়ের বুকের দুধ বা বোতলে করে দুধ খাওয়াটা তার কাছে বেশি সহজ মনে হয়। যে কারণে সহজ পদ্ধতিতে খাওয়াটা সে আঁকড়ে থাকতে পছন্দ করে। এছাড়াও বুকের দুধ বা বোতলে করে দুধ খাওয়াটা যখন শিশুর কাছে দীর্ঘদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন সে নতুন খাবারের স্বাদ নিতে চায় না। বড় বাচ্চাদের তুলনায় ছোট বাচ্চারা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। তাই একটু ছোট থাকতেই শিশুদের সলিড খাবার শুরু করাটা সহজ।
বর্তমানে শিশুদের খাওয়া শেখানোর অনেক নতুন পদ্ধতি বের হয়েছে। তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হলো “বেবি লেড উইনিং” (Baby led weaning) বা শিশুকে নিজের হাতে খাওয়া শেখানো। এই পদ্ধতিতে বাচ্চার সামনে তার বয়সের উপযোগী খাবার রাখতে হবে যাতে সে বড়দের সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে খাওয়ার চেষ্টা করে। এই সময়ে খাবারটি হবে নরম এবং লম্বা টুকরো, যেন বাচ্চারা তাদের মুঠোয় ধরে রাখতে পারে এবং কুটকুট করে কামড়ে খেতে পারে, তাদের দাঁত থাকুক বা না থাকুক।
শিশুকে নিজের হাতে খাওয়া শেখাতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ৬ মাস বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যখন সে হাত দিয়ে খাবার ধরতে পারবে এবং মুখের কাছে আনতে পারবে। শুধু মনে রাখবেন এই পদ্ধতিটা অনেক সময় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। শিশুর পুরোপুরি নিজের হাতে খাবার খাওয়া শিখতে বয়স কমপক্ষে ৮ মাস হতে হবে। কারণ ৮ মাস বয়সের সময়েই সাধারণত তারা হাতের তালু এবং আঙ্গুল ব্যবহার করে কোনো খাবার শক্তভাবে ধরতে পারে। সেই সময় পর্যন্ত আপনাকে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।
কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন শিশু সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত
শিশু সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা সেটা কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন। এছাড়া ডাক্তারের সাথে কথা বলেও জেনে নিতে পারেন। লক্ষণগুলো হলো –
- বসা অবস্থায় শিশু তার মাথা ভালোভাবে ধরে রাখতে পারবে। আপনার শিশুর ঘাড় শক্ত হয়েছে অর্থাৎ সে তার মাথা ঘাড়ের ওপর ধরে রাখতে পারে এটাই শিশুর সলিড খাবারের অন্যতম প্রধান যোগ্যতা। সাপোর্ট দিয়ে বসালে যদি শিশু ঢলে পড়ে না যায় এবং কান্না/অস্বস্তিবোধ না করে তাহলে বুঝবেন ওকে সলিড খাওয়ানোর সময় এসেছে। বসতে না পারা পর্যন্ত শিশুকে কখনোই জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়৷ বিশেষ করে শুয়ে শুয়ে খাওয়ানো শিশুর জন্য কল্যাণের বদলে ক্ষতিই বয়ে আনে। শিশু যখন সাপোর্ট দিয়ে বসতে পারে তখন তাকে ফলের পিউরি বা সবজি পিউরি দিতে পারবেন, কিন্তু খিচুড়ি কখনোই নয়!
ভাতের দলা বা খিচুড়ির মতো ভারি/ঘন খাবার শিশু নিজে নিজে ভালোভাবে বসা শেখার আগ পর্যন্ত দেয়া যাবে না, শিশুর বয়স কমপক্ষে ৭ মাস হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
- যদি শিশুর জিহ্বার থ্রাস্ট রিফ্লেক্স দূর হয়ে যায়। একটি ছোট্ট পরীক্ষা করুন: শিশুর জন্য উপযোগী খাবার (কলা/পেঁপে) বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধের সাথে মিলিয়ে আপনার পরিষ্কার আঙ্গুলের ডগা দিয়ে বা চামচ দিয়ে ওর মুখে দিন। কয়েকবার চেষ্টা করার পরেও খাবারটি যদি বারবার মুখ থেকে পড়ে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার বাচ্চার জিহ্বার থ্রাস্ট রিফ্লেক্স এখনো আছে। সে সলিড খাবার খাওয়ার জন্য এখনও প্রস্তুত নয়।
- খাবারের প্রতি আগ্রহ দেখাবে। আপনি হয়তো বাবুকে কোলে নিয়ে খেতে বসেছেন, আপনার খাবারের প্লেটের দিকে সে তাকিয়ে থাকবে। হয়তো আপনার হাতে থাকা চামচটি ধরতে চাইবে বা আপনার খাওয়া খুব মনোযোগ দিয়ে দেখবে। এই লক্ষণটি দেখেও বুঝতে পারবেন শিশু সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
- জিহ্বা নাড়াতে পারবে। শিশু তার জিভ দিয়ে সামনে-পেছনে এবং উপরে-নিচে নড়াচড়া করতে পারবে। কিভাবে বুঝবেন? ভালো করে খেয়াল করুন। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
শিশু হাঁ করবে। খাবার দিলে শিশু তার মুখ খুলতে পারবে। আপনি শিশুর সামনে কোনো খাবার ধরলে শিশু যদি হাঁ করে, তার মানে সে সলিড খাবারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে!
কিভাবে শিশুকে সলিড খাবার চেনাবেন
শিশুকে ভালো ভোজনকারী হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম এবং সবথেকে কার্যকর পদ্ধতি হলো তার সামনে আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খুব আনন্দ নিয়ে খেতে হবে।
প্রতিটি শিশুই বড়দের অনুকরণ করতে পছন্দ করে। সে যখন আপনাকে একটি খাবার খুব আনন্দ নিয়ে মজা করে খেতে দেখবে, তখন তারও সেভাবে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে।
শিশুকে সলিড খাবার খাওয়া শেখানোর জন্য আরো কিছু টিপস-
- সঠিক সময়।শিশুকে খাওয়ানোর জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন, যে সময়টায় পরিবারের সবাই একসাথে খেতে বসবে। আপনি যদি বুকের দুধ খাওয়ান, তাহলে আপনার দুধের সরবরাহ যখন একদম কমে যাবে (সম্ভবত দুপুরে বা বিকেলে) তখন তাকে সলিড খাবার দিয়ে দেখতে পারেন খায় কিনা। যেমন ধরুন, প্রথমে বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ দিবেন এরপর সলিড খাবার দেয়ার চেষ্টা করবেন। প্রথমে দিনে একবেলা করে সলিড খাবার দিবেন, তারপর ধীরে ধীরে ২ বেলা দিবেন ( সকাল এবং বিকেল এই ২ বেলা দিতে পারেন)। পরবর্তী ১ মাস এভাবেই চালাবেন।
- শিশুর মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করুন। শিশুকে প্রথম দিকে খাওয়ানো আপনার জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, আপনার সন্তানের জন্য তা আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং। তাই মনে রাখবেন যে শিশু যখন হাসিখুশি থাকে তখনই তার খাওয়ার জন্য নিজের ইচ্ছায় হাঁ করার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে সে যদি অস্থির থাকে বা ঘুম ঘুম অবস্থায় থাকে তখন সে কেবল মায়ের বুকের দুধ বা বোতল খুঁজবে।
শিশু যখন অস্থির থাকে বা খাবার মুখে নিতে চায় না, তখন জোর করবেন না। পরের বেলা খাবারের সময় হলে আবার চেষ্টা করবেন।
- তাড়াহুড়ো করবেন না। শিশুকে কখনোই হুড়োহুড়ি করে খাওয়াবেন না। শিশুদের এক চামচ খাবার শেষ করতেও অনেক সময় লাগে। তাই আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এজন্য পরিবারের একেকজন একেক বেলায় শিশুকে খাওয়ানো ভালো। এতে ধৈর্য্য ধরে খাওয়াতে সুবিধা হয়। আর শিশুও বেশি আগ্রহী হয়।
- ঠিকভাবে বসুন। শিশুকে নিজের কোলে বসিয়ে তার মুখে খাবার ঠেসে ধরা খুবই ঝামেলার একটা কাজ। তার উপর এভাবে আপনি ওর মুখ ভালোভাবে দেখতে পারবেন না। এজন্য শিশুকে যে খাওয়াবে তার উচিত শিশুর মুখোমুখি বসা।
শিশুর মুখে প্রথম খাবার দেয়ার আগে তাকে কিছুদিন হাইচেয়ার বা ফিডিং চেয়ারে বসানোর অভ্যাস করুন। এবং তার হাতে নিরাপদ একটি চামচ (সিলিকনের চামচ) দিন। চামত নিয়ে খেলতে খেলতে যেন চামচের আকার সম্পর্কে সে ধারণা নিতে পারে।
শিশুকে কখনোই ফিডিং চেয়ারে একা বসিয়ে রাখবেন না। যেকোনো সময় পড়ে যাওয়া আশঙ্কা থাকতে পারে, তাই তাকে চেয়ারের সাথে বেল্ট দিয়ে আটকে রাখুন এবং নিজেও আশেপাশে থাকুন। মনে রাখবেন, যতক্ষণ শিশু ফিডিং চেয়ারে বসতে না পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত শিশুকে সলিড খাবার না দেয়াটাই ভালো।
বাংলাদেশে ফিডিং চেয়ার কিনতে পাবেন: www.facebook.com/paromita.baby
- বাটি-চামচ-বিব। শিশুর জন্য ঘরের সিলভারের চামচ ব্যবহার না করে, প্লাস্টিক বা সিলিকনের বাটি-চামচ ব্যবহার করবেন। নরম চামচ শিশুর মুখের জন্য নিরাপদ। বাটি-চামচ দুটোই শিশু কামড়ানোর চেষ্টা করবে। কিছু খাবার বাইরে ফেলে দেবারও চেষ্টা করবে। এবং আপনি তাতে বাধা দিবেন না। খাবার খাওয়ানোর সময় গলায় একটি বিব বা পাতলা কাপড় বেঁধে নিবেন। সেই সাথে হাতে একটি চামচও দিবেন যেন সে নিজে খাওয়ার স্বাধীনতা অনুভব করতে পারে। ফিডিং চেয়ারের নিচে বড় পলিথিন বিছিয়ে দিতে পারেন যেন ফেলে দেয়া খাবার আপনার মেঝে নষ্ট না করে।শিশুকে কখনোই জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।
- খাবারের সাথে পরিচয় করান। শিশুকে প্রথমেই মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিবেন না। তার সামনে খাবারটি রেখে তাকে হাত দিয়ে ধরতে দিন। যেন সে খাবারের আকার বুঝতে পারে। হাত দিয়ে চটকে, নাড়াচড়া করে খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ দিন। এইভাবে, আপনি যখন চামচে খাবার অফার করেন, তখন এটি সম্পূর্ণ অপরিচিত হবে না।
- চামচ ভরা খাবার না। একদম শুরুতেই শিশুকে একদলা খাবার মুখে দিতে যাবেন না।প্রথমে চামচে অল্প একটু খাবার নিয়ে তাকে খেতে দিন। প্রথম খাবারটি বাচ্চার জন্য সহজ করুন। যেহেতু সলিড খাবার খাওয়া শিশুর জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা তাই শুরুটা তার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। তাই শুরুতে ঘাবড়ে না গিয়ে বিষয়টা সহজ ভাবে নিন। প্রথমে চামচে অল্প করে নিয়ে শিশুর মুখে সামান্য পরিমাণ খাবার দিন। যদি সে গিলতে পারে তাহলে কিছুক্ষণ পর আবার কিছুটা খাবার মুখে দিন। প্রথমে ধরে নিবেন আপনি যতটা খাবার মুখে দিবেন বেশিরভাগটা বেরিয়ে আসতে পারে। আস্তে আস্তে শিশু খাবার খাওয়া শিখে যাবে এবং সম্পূর্ণ মুখ খুলেই খাবার খাবে।
- না-কে মেনে নিন। শুরুতেই সলিড খাবারের স্বাদ শিশুর পছন্দ নাও হতে পারে। যে কোনো নতুন খাবার পছন্দ করার আগে সে কয়েকবার প্রত্যাখান করতে পারে। যদি খেতে না চায় তাহলে তখন তাকে জোর করবেন না। কিছুক্ষণ পর আবারও চেষ্টা করবেন। কোনো কোনো খাবার প্রথমদিকে খেতে না চাইলে কয়েকদিন বিরতি রেখে আবার দিয়ে দেখতে পারেন।
- আপনিও খান। শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। সে যা দেখবে তাই করার চেষ্টা করবে। তাই খাবার খাওয়ানোর আগে ওর প্লেট থেকে কিছুটা নিজের মুখে নেওয়ার ভান করুন এবং বোঝান যে খাবারটা খুবই মজা। তখন সেও খাওয়ার জন্য উৎসাহিত হবে।
- কখন থামতে হবে। কখন খাওয়ানো বন্ধ থামাতে হবে তা বোঝার চেষ্টা করুন। কখন থামানোর সময় হয়েছে তা বোঝা, কখন খাওয়াতে হবে তা বোঝার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চা যদি মাথা ঘুরিয়ে নেয় বা ঠোঁট চেপে মুখ বন্ধ করে রাখে তাহলে বুঝতে হবে ওর খাওয়া শেষ। তখন আর তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। বেশি জোরাজুরি করলে খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হবে।
বেশি খাওয়াতে চাইবেন না। শিশু কতটুকু খাবে তা নিয়ে আগেই চিন্তিত হবেন না। যতটুকু খাবার দিবেন তার বেশিরভাগই যদি মেঝেতে ফেলে দেয় বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে তবুও সেটা চিন্তার বিষয় নয়। বিশেষ করে প্রথম বছর, কারণ তখন সে মায়ের বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ থেকে বেশিরভাগ পুষ্টি পায়। এই সময়টা শিশুর খাবার খাওয়া শেখার সময়, তাই সে এখন খাবে কম, ফেলবে বেশি।
শিশুর প্রথম খাবার কী হলে ভালো?
শিশুর প্রথম খাবার যেটাই হোক না কেনো, খাবারটা হতে হবে নরম এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। খাবারটি চটকে, একদম ভর্তা করে ছাঁকুনি দিয়ে ছেঁকে নিন। এরপর প্রয়োজনমতো পানি/দুধ মিশিয়ে পাতলা করুন।
বড় হওয়ার সাথে সাথে সে খাওয়া শিখতে থাকবে ( সাধারণত প্রায় ৭ মাস বা তারও বেশি বয়সে)। তখন তার খাবারে পানি/দুধের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে দিবেন এবং খাবার ঘন করবেন।
আপনি যদি চামচ দিয়ে খাওয়ান তবে শুরু করার জন্য এখানে ভালো কিছু প্রথম খাবারের তালিকা দেয়া হলো-
- সিরিয়াল : আয়রন সমৃদ্ধ শস্যদানা দিয়ে সিরিয়াল তৈরি করে দিতে পারেন যেমন: ওটস, বাদামি চাল বা বা বার্লি নিতে পারেন। এগুলোর যে কোনটির সাথে মায়ের বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ বা পানি মিশিয়ে ক্রিমের মতো ঘন করে নিবেন। প্রথমেই চটকানো কলা, আপেল বা জুসের মতো জিনিসগুলি যোগ করে শিশুর খাবারের স্বাদকে মিষ্টি করবেন না। কারণ শুরুতে শুধু একটি খাবারের সাথে পরিচয় করানো ভালো। আর শুরুতেই শিশুকে মিষ্টি স্বাদের খাবার না চেনানোই ভালো।
বাংলাদেশে সিরিয়াল কিনতে পাবেন: www.facebook.com/paromita.baby
- শাকসবজি: শিশুকে শুরুতে মিষ্টি কুমড়া বা গাজরের মতো হালকা হলুদ বা কমলা রঙের সবজি দিয়ে সলিড শুরু করা ভালো। সবুজ রঙের সবজি- যেমন মটরশুঁটি, শিম এগুলো পরে দেওয়া উচিত। কারণ এর স্বাদ একটু কড়া। যে খাবার খেতে দিয়েছেন সেটা যদি সে খেতে না চায় তাহলে পরের দিন কিংবা তারপরের দিন আবার চেষ্টা করুন। কোনো কোনো শিশুকে নতুন খাবার খাওয়াতে ১০ থেকে ১৫ বারের মত চেষ্টা করতে হয়। তাই আপনাকে ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে।
- ফল: শিশুকে শুরুতে সুস্বাদু এবং হজম করতে পারে এমন ধরনের ফল দেওয়া উচিত। যেমন ধরুন চটকানো কলা, সেদ্ধ আপেল এবং নাশপাতি শিশুদের দ্রুত হজম হয়।
এই সিরিয়াল, পাকা পেঁপে, কলা, হালকা হলুদ বা কমলা রঙের সবজি খাবারগুলো কিছুদিন পর শিশুর কাছে পুরনো হয়ে যায়। তখন আর সেগুলো খেতে চায় না। তাই ৭-৮ মাসের দিকে খাবারে আরো কিছু নতুন উপাদান যোগ করবেন-
- মুরগির মাংস
- ডিম
- দই
- চিজ
- বাদাম (গুঁড়ো করে)
- পাস্তা
৮ মাস বয়সে শিশুর খাবার নরম এবং লম্বা টুকরো করে দিবেন, যেন তারা হাতের মুঠোয় ধরে কুটকুট করে কামড়ে খেতে পারে– শিশুর দাঁত থাকুক বা না থাকুক।
প্লেটে প্রতিটি খাবার আলাদাভাবে সাজিয়ে দিবেন। কারণ আপনার লক্ষ্য হলো শিশুকে প্রতিটি খাবারের স্বাদ আলাদাভাবে চেনানো। তাই আপনি যদি মাংস এবং সবজি একসাথে মিশিয়ে দেন, তাহলে সে কখনোই আলাদাভাবে মাংস বা সবজি খেতে কেমন লাগে সেটা বুঝতে পারবে না। যখন সে সব খাবারের স্বাদ চিনে যাবে তারপর আপনি চাইলে বিভিন্ন খাবার একসাথে মিশিয়ে দিতে পারেন।
শিশুকে কখনোই মধু দিবেন না। কারণ, মধুতে (ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনামের স্পোর) থাকতে পারে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু শিশুদের জন্য এটি বেশ বিপদজনক।
বাচ্চার বয়স কমপক্ষে ১ বছর না হওয়া পর্যন্ত গরুর দুধ খাওয়াবেন না। তবে বেশিরভাগ ডাক্তার আজকাল দুধের তৈরি দই ও পনির, ৮ মাসের পর থেকে দিতে বলেন। এবং শিশুকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার দিতে ভুলবেন না, যা এই বয়সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি
একটা সময়ে মনে করা হতো ডিম, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, এবং কিছু দুগ্ধজাতীয় খাবার আছে যেগুলো খাওয়ালে শিশুর অ্যালার্জি হয়। তাই এই খাবারগুলোকে দেরি করে শুরু করতে বলা হতো। তবে AAP এখন আর এটি করার পরামর্শ দেয় না। কারণ বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে এ জাতীয় কিছু খাবার খেতে না দিলেও, শিশুদের খাবারের কারণে অ্যালার্জি হওয়া বন্ধ হয় না।
AAP এখন বলছে যে, শিশুর ৪ থেকে ৬ মাস এবং অবশ্যই ১১ মাসের মধ্যে পিনাট বাটারের মতো অ্যালার্জেনিক খাবার শুরু করা উচিত, এতে করে তার ভবিষ্যতে খাবারে অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা কমে যায়। তবে তার আগে শিশুকে অবশ্যই অন্যান্য সলিড খাবার যেমন: সিরিয়াল, ফল বা শাকসবজি খাওয়া শেখাতে হবে এবং বাড়িতে একটি একটি করে এই খাবারের সাথে পরিচয় করাতে হবে।
কোনো নির্দিষ্ট খাবার থেকে অ্যালার্জি হয় কিনা তা জানার কিছু পদ্ধতি বের হয়েছে। যেমন, এখন মায়েদের বলা হয় একসাথে অনেক খাবার একবারে না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট খাবার পরপর ৩ দিন দিতে। এতে করে সেই খাবার থেকে শিশুর অ্যালার্জি হয় কিনা তা বোঝা যায়।
বাচ্চাদের খাবারে অ্যালার্জির লক্ষণ কী
যদিও বাচ্চাদের মধ্যে খাবারের অ্যালার্জি তুলনামূলকভাবে অস্বাভাবিক। আবার কিছু শিশুর খাবারে অ্যালার্জির মাত্রা ৫ বছরের মধ্যে অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন সেটা গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা করা উচিত। কোন বিশেষ খাবার থেকে এলার্জি হলে শিশুর মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন-
- পেটে গ্যাস হয়
- ডায়রিয়া বা পায়খানার সাথে শ্লেষ্মা যেতে দেখা যায় সাথে বমিও হয়
- মুখ সহ সারা শরীরে ফুসকুড়ি উঠে এবং চুলকানি হয়
এগুলো ছাড়াও আরো কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন- সর্দি, চোখে পানি, শ্বাসকষ্ট যা ঠান্ডার কারণে হচ্ছে বলে মনে হয় না, এবং শিশু দিনে বা রাতে অস্বাভাবিকভাবে জেগে থাকে।
আপনি যদি মনে করেন যে আপনার বাচ্চাকে যা খাওয়াচ্ছেন তাতে অ্যালার্জি হতে পারে, তবে সে খাবার আবার দেওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তবে, নতুন যে খাবারই দেন তাতেই যদি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বা আপনার পরিবারে অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা খুবই জরুরি।
শিশুর গলায় খাবার আটকে যাওয়া কিভাবে প্রতিরোধ করব
শিশুর সলিড শুরু করার পর, খাবার গলায় আটকানো প্রতিরোধ করার কিছু উপায় নিচে দেয়া হলো –
- খাবার খাওয়ার সময় শিশুর কাছাকাছি থাকতে হবে। যখনই সে খাবার মুখে দিবে খুব মনোযোগের সাথে তার খাবার খাওয়াটা লক্ষ্য করতে হবে।
- শুরুতে খাবার ছোট ছোট করে কেটে দিতে হবে। এতোটাই ছোট করতে হবে যেন সে পুরোটা একবারে গিলে ফেলতে পারে। (যদি সে খাবার না চিবোতে চায় )
- ধীরে ধীরে খাবারের টুকরো বড় করবেন। আপনার বাচ্চা যখন নরম, সলিড খাবারের টুকরো খেতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে তখন আস্তে-আস্তে খাবারের টুকরোগুলো বড় করতে থাকবেন।
- শিশুর খাবারের প্লেটে শুরুতে অল্প পরিমাণে খাবার দিন। যেমন ধরুন একবারে মাত্র ১ বা ২টি খন্ড রাখুন, যেন সে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার মুখে দিতে না পারে।
- আপনার শিশুকে এক জায়গায় বসিয়ে খাবার খাওয়ান। তাকে শুধুমাত্র তখনই নিজের হাতে খেতে দিবেন যখন সে এক জায়গায় বসে খাবে। হামাগুড়ি দিয়ে চারপাশে ঘুরে বা দৌড়ে খাওয়া শুধু খারাপ আচরণই নয় বরং ছোট শিশুদের জন্য এটা অনিরাপদও।
এছাড়াও আপনার এমন খাবার দেওয়া উচিত নয় যা সহজে গিলা যাবে না বা মাড়ি দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারবে না।
যে খাবারগুলো দেয়া যাবে না-
- রান্না না করা কিশমিশ
- আস্ত মটর (যদি না সেগুলি থেঁতলে দেওয়া হয়)
- কাঁচা ও শক্ত সবজি, যেমন: গাজর
- কাঁচা ও শক্ত মাংস মাংস যুক্ত ফল, যেমন: আপেল, কাঁচা নাশপাতি ও আঙ্গুর
- বড় মাংসের টুকরো
- পপকর্ন
- বাদাম
- আঙুর বা যে কোনো বিচিযুক্ত ফল বিচি না ফেলে দেয়া যাবে না
খাবার গলায় আটকে যাওয়া ও খাবার গলায় আটকিয়ে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য
শিশুর প্রথমবার খাওয়ানোর সময় খাবার গলায় আটকে গেলে আপনার ভয় লাগবেই! ব্যাপারটা আসলে স্বাভাবিক। সে যদি খাবার মুখে নিয়ে হাঁস-ফাঁস করে, এর মানে হলো হয় সে খুব বেশি পরিমাণে খাবার মুখে নিয়েছে অথবা একবারে মুখের অনেক ভিতরে খাবার ঠেলে ঢুকিয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই, গ্যাগ রিফ্লেক্স এই খাবারটি গলা থেকে বের করে আনতে সাহায্য করবে।
বাচ্চা যেন চেয়ারে সোজা হয়ে বসে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। গলায় আটকানো ও শ্বাসনালীতে আটকানোর (দম বন্ধ হয়ে আসা) মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে:
শ্বাসনালীতে খাবার আটকালে: শিশু দম আটকে মারা যেতে পারে। মুখ নীল হয়ে যাবে। মুখ দিয়ে কোন শব্দই করতে পারবে না। এমন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিচের ছবির মত শিশুকে উপুড় করে পিঠে বাড়ি দিতে হবে। এ কাজটি সাধারণত কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক করা ভালো। এমন কেউ না থাকলে ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজেরা চেষ্টা করবেন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিবেন।
- গলায় খাবার আটকালে: শিশুর গলায় খাবার আটকাবে তবে দম আটকে যাবে না। ওয়াক ওয়াক শব্দ করতে থাকবে। মুখ লাল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে কিছুই করতে হবে না, সে নিজেই নিজে সামলাতে পারবে। আপনি এ সময় দূর থেকে ওর মুখে পানির ছিটা দিয়ে দিতে পারেন। তাতে ও খাবার গিলে ফেলবে।
এসব আপনার কাছে অনেক কঠিন মনে হতে পারে, তবে সময়ের সাথে সাথে শিশু খাবার খাওয়া শিখে ফেলে। শিশুর প্রথম সলিড খাবার ঠাণ্ডা, হালকা গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পরিবেশন করা যেতে পারে।
শুরুতেই লবণ, চিনি বা অন্যান্য মসলা যোগ করার বিষয়ে চিন্তা করবেন না। শুরুতেই নানা ধরনের মসলার স্বাদ নেয়া শিশুর জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে।
এ লেখাটি আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পিডিয়াট্রিকস (AAP) এর গাইডলাইনের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে।
তাদের ওয়েবসাইট লিংক:
www.aap.org
অনেক ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানতে পারলাম
খুবই সুন্দর লেখনী, সাবলীল বাংলায় লেখা। পারমিতা আপু যে এমিলের যত্নের পাশাপাশি এতো ডিটেইলে পড়াশোনা করে লিখে পোস্ট করছেন, সেটা খুবই চমকপ্রদ। আমার বাবুর বয়স চার মাস, আমি মনে মনে এরকমই একটা তথ্যপ্রদ দিকনির্দেশনা খুঁজছিলাম।
জেনে খুবই ভালো লাগল। আরো নতুন নতুন লেখা তৈরি করছি।
একজন নতুন মা হিসেবে এ ব্যপারে ধারনা পাওয়া টা অনেক ভালো কিছু অনেক সহজ হয়ে গেলো সব কিছু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ❤️
অনেক ধন্যবাদ।
Nice
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে লেখার জন্য। আমার ছেলের বয়স ৩ মাস ২৩ দিন। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা টা।
জেনে খুবই ভালো লাগল। আমাদের ওয়েবসাইটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন।
উপকৃত হলাম।
জাযাকাল্লাহ
Thank you apu. But ami ki korbo bujhte parchi na. Apnr shate jogajog korte parle valo hotoh. GP health visitor shob eder suggestion cheyechi but upokar holo na. Ami na bujhe thik shomoi r thik vabe oke solid shuru korte pari nai. Ekhon 3 years 4 mont but amr chele gravy food jemon vat halka chotkano ba kurano choto choto kore dewa juicy fruite, Eshob chara kono slice or kichu se khete chai na. Hate niye ekdm khabe na. 1.5 year ageh biscute kheto but ota chere dise ekn toh try o kore na. O ki life a kokhon o khawa shikhbe na ba khete parbe na bujhte parchi na. Speacj delay problem ache. But onk word screan dekhe shikhey erpor abr vule o jai.
আমার বাবুর বয়স ৬ মাস হতে চলল। আপনার লেখাগুলো খুব মন দিয়ে পড়ি। যা আমার কাজে দেয়।
ধন্যবাদ আপু সবকিছু এত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেন।
আপনিও সুন্দর করে লিখেছেন। ধন্যবাদ।
Thank you apu. Your guidelines are really helpful.
Can you please make a blog on right way of feeding vegetables and some meal ideas? Thank you .
দারুণ আইডিয়া। আমি চেষ্টা করবো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। আমার বাবুর solid খাবার শুরু করতে খুব helpful হবে
আপু আমার ছেলের বয়স ৬ মাস ১ দিন। ও প্রিম্যাচিউর বেবি ছিল। ৩৪ উইকে হয়েছে। বার্থ ওয়েট ছিল ১৮০০ গ্রাম। এখন ওর ওয়েট ৬.৫ এর মত। ও ফুললি ব্রেস্ট ফিডিং বেবি। ওর সলিড শুরু করতে চাচ্ছি। বাট ও এখনও বসতে পারেনা এবং নিজে উপুর ও হতে শেখেনি এখনও। সেক্ষেত্রে ওর সলিড কীভাবে শুরু করব আপু? ওর ঘাড় শক্ত, তবে খাবারের প্রতি ইন্টারেস্ট দেখায় না এখনও ওভাবে, হাত বাড়িয়ে খাবার ধরতে চায়না। আর ওর লাস্ট এক মাস যাবত ডায়রিয়ার প্রব্লেম ছিল। টয়লেটে শ্লেষা ছিল। ডাক্তার এজিউম করছিল এলার্জির জন্য হচ্ছে কজ সব টেস্ট রিপোর্ট নরমালই ছিল৷ শুধু টয়লেটে পাজ সেল বেশি ছিল অনেক। এজন্য আমাকে দুধ খেতে মানা করেছে ডাক্তার। সেক্ষেত্রে আপনি কোনো গাইডলাইন দিতে পারবেন কি আপু?
দেখেন আমি ডাক্তার নই। তবে বাচ্চার পায়খানার জন্য মাকে দুধ খেতে মানা করা খুবই সেকেলে এবং আধুনিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের তথ্য উপাত্তের উল্টো ঘটনা। এ বিষয়ে আরেকজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন সম্ভব হলে। বাচ্চা যদি সাপোর্ট দিলে বসতে পারে মানে ঢলে পড়ে না যায় আর খাবার মুখে দিলে ভেতরে নিতে পারে, তার মানে ও রেডি। বাচ্চা নিজে নিজে বসতে শিখে ৮ মাসে বা এর পরে।