শিশু নিজের ভর সামলে দাঁড়াতে শিখে গেলেই বুঝতে হবে এই বাচ্চা কিছুদিন পরেই সারা দুনিয়া চষে বেড়াবে। শিশু দাঁড়াতে শেখার কয়েকদিনের মধ্যে হাঁটা শুরু করতে পারে,আবার কয়েক মাসও লাগতে পারে।
শিশুরা সাধারণত কখন হাঁটা শুরু করে, কখন বুঝতে হবে কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চা হাঁটতে পারবে এবং কিভাবে শিশুকে হাঁটা শেখানো যায় এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিয়েই এই লেখা।
বাচ্চা কখন হাঁটা শুরু করে
একেক বাচ্চা একেক বয়সে হাঁটা শুরু করে। কেউ কেউ এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই হাঁটতে শুরু করে। তবে ১৪ মাস বয়সে বেশিরভাগ বাচ্চা হাঁটা শুরু করে। বয়স ৯-১০ মাস হলেই দেখা যায় শিশু সোফা, টেবিল ধরে আস্তে আস্তে পা ফেলে হাঁটার চেষ্টা করছে।
যখন দেখবেন আপনার শিশু ফার্নিচার ছেড়ে নিজে নিজে নিজে পা ফেলার চেষ্টা করছে, বুঝতে হবে এক্ষুনি সে গুটিগুটি পায়ে প্রথমবারের মতো কয়েক কদম হাঁটবে। বেশির ভাগ বাচ্চাই প্রথম জন্মদিন পার হয়ে যাবার পরেও নিজে নিজে হাঁটতে পারে না। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ১৮ মাস পার হয়ে গেলেও যদি আপনার শিশু হাঁটতে না পারে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বাচ্চার হাঁটা শেখার পেছনে বাবা-মায়ের মানসিকতা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বাচ্চার শরীরের গঠন ও মনোভাবও এই বিষয়ে প্রভাব ফেলে। চঞ্চল বাচ্চারা সাধারণত শান্ত শিশুদের চেয়ে আগে হাঁটা শিখে ফেলে। কিছু বাচ্চা একটু সতর্ক হয়, নতুন কিছু করার আগে চিন্তা ভাবনা করে। তাই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার আগে এ ধরণের শিশুরা সাধারণত হাঁটা শুরু করে না। আবার কিছু বাচ্চা বেশি সাহসী হয়। এরা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে বলে তাড়াতাড়ি হাঁটা শুরু করে।
সমবয়সী অন্য বাচ্চারা হাঁটা শুরু করেছে কিন্তু আপনার শিশু এখনো পারছে না? চিন্তা করবেন না। সে এমনিতেই শিখে নেবে। তবে যখন তার সময় হবে তখন।
আপনি বরং বাচ্চার হাঁটতে শেখা সহজ করতে পারেন। এভাবে আস্তে আস্তে যখন শিশু গুটিগুটি পায়ে আপনার দিকে এগিয়ে আসবে, ঐ মুহুর্তটা আরও মধুর হবে।
হাঁটতে শেখার বিভিন্ন পর্যায়
হাঁটা পুরোপুরি শেখার আগে বাচ্চার ছোট ছোট কয়েকটি পর্যায় পার করতে হয়। প্রত্যেক বাচ্চাই নিজের মতো করে হাঁটতে শেখে। সবার শেখার প্রক্রিয়া একরকম হয়না।
ভালোভাবে হাঁটতে শেখার আগে আপনার শিশু নিচের পর্যায়গুলো পার করবে। তবে মনে রাখবেন অনেক বাচ্চাই একটা বাদ দিয়ে পরের পর্যায়ে চলে যায়। ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক।
হামাগুড়ি দেওয়া: বাচ্চার বয়স ৭ থেকে ১০ মাসের মধ্যেই হামাগুড়ি দিতে শুরু করবে। কিছু বাচ্চা দুই হাত ও দুই হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে নড়াচড়া করতে করতে হামাগুড়ি দেওয়া শেখে।
হাতে ভর দিয়ে সামনের দিকে আগানো: এটা অনেকটা হামাগুড়ির মতোই। বাচ্চার হাতের পেশী একটু শক্ত হলে দেখবেন হাতের জোর কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
হেঁচড়ে চলা: কিছু বাচ্চা কোমর পিছলে পিছলে আগানোর চেষ্টা করে। আবার দেখবেন কিছু বাচ্চা টিকটিকির মতো পেটের ওপর ভর দিয়ে হাত দিয়ে টেনে টেনে সামনের দিকে আগাচ্ছে।
সামনের দিকে হাঁটা: পুরোপুরি হাঁটা শিখে ফেলার একদম আগের ধাপ এটা। এ পর্যায়ে বাচ্চা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কোনো ফার্নিচার বা বড় কাউকে ধরে ছোট ছোট পা ফেলে আগাতে পারে।
কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন বাচ্চা শীঘ্রই হাঁটা শুরু করবে
ওপরে যেসব পর্যায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার মধ্যে যেকোনো একটাও যদি আপনার শিশু করার চেষ্টা করে তাহলে বুঝতে হবে বাচ্চার হাঁটা দেখতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। এ ছাড়া শরীর আগের চেয়ে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা, আগের চেয়ে বেশিক্ষণ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারাও বাচ্চার হাঁটার আভাস দেয়।
আর আপনার আদুরে শিশুটি যদি খেলনা গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে হেঁটে আগাতে পারে, তাহলে বুঝবেন সে খুব তাড়াতাড়িই নিজে নিজে হাঁটতে পারবে।
এছাড়া বাচ্চা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ঘুমায়, বুঝতে হবে দিনে যে হাঁটা শেখার পর্যায়গুলো সে পার করছে সেগুলো সামলাতে গিয়ে ঘুমের রুটিন একটু পাল্টে গেছে।
তাই ১২ মাস বয়সের পর বেশিরভাগ শিশুর ঘুমের রুটিনে পরিবর্তন আসে।
বাচ্চাকে কিভাবে হাঁটতে আগ্রহী করা যায়
বাচ্চাকে হাঁটতে আগ্রহী করে তোলার অনেকগুলো উপায় আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে বাচ্চাকে নিজে নিজে হাঁটতে শেখার সময় দেওয়া।
তাই আপনার শিশুকে স্ট্রলার বা ক্যারিয়ার থেকে নামিয়ে রাখুন। এতে সে নিজে নিজে হাঁটার চর্চা করার সুযোগ পাবে।
- পছন্দের খেলনা দিয়ে আকর্ষণ করুন হামাগুড়ি দেওয়ার সময় ও উঠে দুই পায়ে দাঁড়ানোর সময় বাচ্চাকে যেভাবে কাছে আসতে উৎসাহ দিয়েছিলেন, হাঁটা শেখাতেও একই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। বাচ্চার পছন্দের কোনো খেলনা একটু দূরে এনে রাখুন। দেখবেন শিশু খেলনা হাতে নেওয়ার জন্য গুটিগুটি পায়ে হেঁটে এগিয়ে আসতে চেষ্টা করবে।
- ফার্নিচার ধরে হাঁটতে সাহায্য করুন আপনার শিশু যদি দাঁড়াতে পারে, কিন্তু পা ফেলতে ভয় পায়, তাহলে আশেপাশের আসবাবপত্র এমনভাবে সাজিয়ে রাখুন যাতে সেগুলো ধরে ধরে হাঁটতে বাচ্চার সুবিধা হয়। এভাবে সে একসময় নিজে নিজেই হাঁটতে পারবে। তবে খেয়াল রাখবেন কোনো ফার্নিচারে যেন ধারালো অংশ না থাকে। ফার্নিচারে হোঁচট খেয়ে শিশু যাতে পড়ে না যায় এই ব্যাপারেও খেয়াল রাখবেন।
- হাত ধরে রাখুন বাচ্চার হাত ধরে একসাথে হাঁটলে সে নিজে নিজে হাঁটার আগ্রহ পাবে।তবে এক হাত ধরবেন। দুই হাত ধরলে বাচ্চার ব্যালান্স নষ্ট হয়।
- ঠেলা যায় এমন খেলনা দিন :শপিং কার্ট, বা ঘাস কাটার যন্ত্র যেভাবে ঠেলে আগানো যায় ওরকম কোনো খেলনা দিলে বাচ্চা হাঁটতে আগ্রহ পাবে। সামনে পেলেই খেলনা ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছা করবে তার। এ ছাড়া বাচ্চার পা মজবুত হওয়ার আগ পর্যন্ত খেলনাটা তাকে শরীরের ভার ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এভাবে আস্তে আস্তে আপনার শিশুর শরীরের ভারসাম্য ও মনের আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়বে। এক্ষেত্রে একটু শক্তপোক্ত ও সামনে ধরার মতো হাতল আছে এমন খেলনা দেবেন। হাতল থাকায় বাচ্চা প্রয়োজনে হেলান দিতে পারবে,আবার মজবুত হওয়ায় উল্টে পড়ার আশংকা থাকবে না।
- হাঁটানোর জন্য ওয়াকার ব্যবহার করবেন না: বাচ্চাদেরকে হাঁটানোর জন্য যে ধরনের গোল ওয়াকার ব্যবহার করা হয় সেগুলো বাচ্চার হাঁটতে শেখার স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়। এজন্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পিডিয়াট্রিক্স এগুলো তৈরি ও বিক্রি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওয়াকার ব্যবহারের ফলে বাচ্চা উল্টে পড়ার আশংকা থাকে। এছাড়া এগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে বাচ্চার কোমরের গড়নে সমস্যা হতে পারে। এর বদলে নিচের ছবির মতন অ্যাক্টিভিটি সেন্টার ব্যবহারে পরামর্শ আমেরিকার ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন।
- অ্যাক্টিভিটি সেন্টারে বেশিক্ষণ রাখবেন না বাচ্চাকে অ্যাক্টিভিটি সেন্টারগুলোতে শিশুর ব্যথা পাওয়ার খুব একটা আশংকা থাকে না৷ তবুও এখান থেকে বাচ্চার হাঁটা শেখার ক্ষেত্রে খুব একটা উপকারও পাওয়া যায় না। মনে রাখবেন, হাঁটা শিখতে হলে আপনার বাচ্চার পায়ের পাশাপাশি টর্সো (বুক সামনের অংশ) ও হাতের মাংসপেশীও মজবুত হতে হবে। তাই বাচ্চাকে অ্যাক্টিভিটি সেন্টারে এক নাগাড়ে ৩০ মিনিটের বেশি সময় না রাখাই ভালো।
- জুতা পরাবেন না: আপাতত বাচ্চাকে জুতা না পরানোই ভালো। খালি পায়ে হাঁটতে দিন। নিতান্তই যদি পা খালি রাখতে না চান, তাহলে পিছলে পড়বে না এমন কোনো মোজা পরাতে পারেন। জুতা ছাড়া হাঁটলে বাচ্চার পায়ের পাতা, গোড়ালির মাংসপেশি মজবুত হয়। এভাবে শিশুর শরীরের ভারসাম্য রাখতে শিখে সোজা হয়ে হাঁটতে সুবিধা হবে।
- বাইরে গেলে আরামদায়ক জুতা পরান: আপনার বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে গেলে হালকা, আরামদায়ক জুতা পরান। শক্ত, লম্বা বুটজুতা পরাবেন না। এ ধরনের জুতা পরলে শিশুর গোড়ালি মজবুত হতে দেরি হবে। অর্থাৎ হাঁটা শিখতে সময় বেশি নেবে।
- কিছুদিন চেষ্টার পর হাঁটা বন্ধ করে দিলে চিন্তা করবেন না মনে রাখবেন আপনার বাচ্চা হাঁটায় এখনো দক্ষ হয়ে ওঠেনি। অনেক সময় বাচ্চা কয়েকদিন টুকটাক হাঁটার চেষ্টা করার পর চেষ্টা বন্ধ করে অন্যকিছু করার চেষ্টা করছে। অনেকে বাচ্চা আবার হাঁটতে গিয়ে ব্যাথা পেলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে আর হাঁটতে চায় না। তবে চিন্তার কিছু নেই। এ বয়সে বাচ্চা খুব অল্প সময়ে নতুন নতুন অনেক কিছু শিখে ফেলতে চেষ্টা করে৷ তাই হাঁটা শিখতে গিয়ে থেমে গেলে চিন্তিত হবেন না।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
১৮ মাসের মধ্যে বাচ্চা হাঁটতে না শিখলে, এমনকি কোনো লক্ষণও না দেখালে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রিম্যাচুর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১৮ মাসের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
ধৈর্য্য ধরুন। প্রত্যেক শিশুই নিজের নিয়মে বড় হয়। আপনি নিজেই বাচ্চাকে তাড়াতাড়ি হাঁটতে শেখার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারেন।
তাই বাচ্চাকে নিরাপদে ও মজার ছলে খেলতে খেলতে হাঁটার চর্চা করার সুযোগ দিন।
তবে বাবা-মায়েরা সাধারণত কিছু বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে ডাক্তারের কাছে চলে যান। নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনার শিশুর মধ্যে লক্ষ্য করলে চিন্তা করবেন না , এগুলো শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের অংশ।
- হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়া হাঁটতে গিয়ে বাচ্চা হোচট খাবেই। তবে আপনার আদুরে শিশুটি হাঁটা শেখার সময় ঘর নিরাপদ রাখুন। পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পায় এরকম কিছু শিশুর আশেপাশে রাখবেন না। বাচ্চা একটু আধটু পড়ে গেলেও চিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন, বাচ্চার ডায়পার এমনিতেই ওকে সুরক্ষা দেবে। এ ছাড়া আপনার আগেই বাচ্চা পড়ে যাওয়ার কথা ভুলে আবার উঠে টুকটুক করে হাঁটার চেষ্টা করবে।
- তুলতুলে পায়ের পাতা আপনার শিশুর ছোট ছোট পা ও তুলতুলে পায়ের পাতা দেখে হয়তো তার হাঁটতে পারা নিয়ে চিন্তা করছেন। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এই বয়সে শিশুদের শরীরে সামান্য মেদ থাকা স্বাভাবিক। বয়স ২ থেকে ৩ বছর হলেই দেখবেন পায়ের তুলতুলে ভাব কেটে গেছে।
- বাঁকা পায়ের পাতা কিছু শিশুর পায়ের পাতা ভেতরের দিকে একটু বাঁকানো থাকে। দেখতে অনেকটা ঈদের চাঁদের মতো লাগে। তবে এতেও ভয়ের কিছু নেই। কিছুদিন পর এমনিতেই এটা সোজা হয়ে যাবে।
- দুই পায়ের বুড়ো আঙুল একদম লেগে যায় কিছু বাচ্চার পায়ের পাতা ভেতরের দিকে মোড়ানো থাকে। অর্থাৎ দাঁড়ালে দেখা যায় দুই পায়ের বুড়ো আঙুল একদম কাছাকাছি এসে লেগে যাচ্ছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। সাধারণত শিশু হাঁটা শুরু করার ছয় মাসের মধ্যেই এটা ঠিক হয়ে যাবে। ছয় মাস পরেও যদি সোজা না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- দুই পায়ের পাতা দুইদিকে থাকে কিছু বাচ্চার আবার দুই বছর বয়সে এসে দুই পায়ের পাতা বিপরীতমুখী হয়ে যায়। দাঁড়ালে পায়ের গোড়ালি কাছাকাছি থাকে কিন্তু দুই বুড়ো আঙুল দুইদিকে চলে যায়। সোজা হয়ে থাকেনা। সাধারণত ৩-৪ বছর বয়স হলে বাচ্চার পা এমনিতেই কাছাকাছি চলে আসে। আর যদি নাও হয়, খুব একটা সমস্যা হয় না৷ তবে যদি এই কারণে বাচ্চার হাঁটতে অথবা দৌড়াতে সমস্যা হয়, ডাক্তার দেখাতে পারেন। সাধারণত ডাক্তাররা এই সমস্যা ঠিক করতে বাচ্চাকে বিশেষ এক ধরণের জুতা পরানোর পরামর্শ দেন।
- দুই পা একসাথে লাগানো যায় না নয় মাস মায়ের পেটে গুটিশুটি দিয়ে থাকে শিশু। তাই মাঝেমাঝে দেখা যায় দুই পায়ের মাঝখানে একটু বেশি ফাঁকা। মানে দুই হাঁটু একসাথে লাগানো যায় না। একটা ফাঁকা জায়গা থাকে। সাধারণত ১৮ মাসের মধ্যেই পা সোজা হয়ে যায়। কিছুক্ষেত্রে ৩ বছরও লাগতে পারে।
- পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে হাঁটা কিছু বাচ্চা আঙুলের ওপর ভর দিয়ে হাঁটতে মজা পায়। তবে চিন্তার কারণ নেই। শিশুর পায়ের সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে তা কিন্তু না। বরং এভাবে হাঁটার অভ্যাস শিশুর শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখা শিখতে সাহায্য করে।
কিছুক্ষেত্রে পায়ের পাতা অথবা গোড়ালির মাংসপেশী টানটান হয়ে থাকায় শিশু এভাবে হাঁটে। তবে এই সমস্যা কিছুদিনের মধ্যে অবশ্যই ঠিক হয়ে যায়।
এই বিষয়ে আপনার মনে যদি সন্দেহ থাকে তাহলে খেয়াল করুন বাচ্চা চাইলে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে কিনা। ২ বছর বয়সের পরেও আঙুলের ওপর ভর দিয়ে হাঁটলে ডাক্তার দেখান।
সাধারণত এসব ব্যাপার বাচ্চার বেড়ে ওঠারই অংশ। তবে আপনার শিশু যদি হাঁটতে গিয়ে বারবার একদিকে ঝুঁকে পড়ে যেতে থাকে অথবা যদি মনে হয় বাচ্চার পা একটু অস্বাভাবিকভাবে টানটান হয়ে আছে। তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
রেফারেন্স:
- American Academy of Pediatrics, Movement: Babies 8 to 12 Months , April 2021.
- KidsHealth From Nemours, Movement, Coordination, and Your 1- to 2-Year-Old , May 2022.
- American Academy of Pediatrics, Baby Walkers: A Dangerous Choice August 2022.
- American Academy of Pediatrics and Centers for Disease Control and Prevention, Does My Child Have Physical Developmental Delays?
- American Academy of Orthopaedic Surgeons, Bowed Legs (Genu Varum, Blount’s Disease) , June 2024.
- American Academy of Pediatrics, Pediatrics, Infant Walker-Related Injuries in the United States October 2018.
- American Academy of Pediatrics, Shoes for Active Toddlers , June 2015.
- American Academy of Pediatrics, Pigeon Toes (Intoeing) , January 2022.
- Centers for Disease Control and Prevention, CDC’s Developmental Milestones , May 2024